রেদওয়ান আরিফ
করোনা প্রাদুর্ভাবের পর থেকে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা শুরু হয়েছে। সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে বাড়ির বাইরে চলাচলে সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে। পরতে বলা হয়েছে মাস্ক। মানুষ সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন দোকান থেকে ক্রয় করছে মাস্ক, গ্লাভসসহ বেশ কিছু পণ্য। তবে অনেক অসচেতন ব্যক্তি ব্যবহার করা মাস্ক, গ্লাভস যেখানে সেখানে ফেলছে ফলে করোনা ঝুঁকি আরও বাড়ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শহরের রাস্তাঘাটে, অলিগলিতে এখন এসব ব্যবহার করা সুরক্ষাসামগ্রী পরে থাকতে দেখা যায়। এমনকি হাসপাতালের আশপাশে বিভিন্ন স্থানে ফেলে রাখা হয়েছে হ্যান্ড গ্লাভস ও ফেস মাস্কসহ নানা যত্রতত্র। এছাড়াও নগরীর বেশ কয়েকটি ফার্মেসির সামনেও এসব ব্যবহার করা পরিত্যক্ত মাস্ক আর গ্লাভস পরে থাকতে দেখা যায়। এতে ভয়ানক ছোঁয়াচে করোনাভাইরাস নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আরও আকঙ্ক তৈরি হচ্ছে। কারণ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা জিনিসপত্র থেকে ভাইরাসটি অন্যদের মধ্যে সহজেই সংক্রমিত হতে পারে। এতে করে সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
চিকিৎসকদের মতে, মাস্ক ও গ্লাভস সব ধরনের জীবাণু থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। তবে ব্যবহার করা এসব মাস্ক, গ্লাভস যেখানে সেখানে ফেলা ঠিক নয়। নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে বা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। কারণ এতে অবশ্যই স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে।
সচেতন মহলের মতে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সংক্রমণ ঠেকাতে সকলকে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থানের নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন। জরুরি প্রয়োজনে বের হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক ও হ্যান্ড-গ্লাভস ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তবে তা সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে হবে। করোনার এই সময় মাস্ক, গ্লাভস স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। এসব যদি সঠিক ভাবে ব্যবস্থাপনা না করা হয় তাহলে এর পরিণতি খারাপ হবে। করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।